সোহাগ মিয়া, হবিগন্জ প্রতিনিধি ঃনোয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এ বহুমুখী সিন্ডিকেট এর হোতা সহকারী স্টেশন মাষ্টার মোঃ কামাল মিয়া। জানা যায়, টিকেট কালোবাজারি থেকে শুরু করে নারীবাজি সহ একাধিক কূকর্মের হোতা তিনি।
স্টেশনে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদক কে জানান, সহকারী স্টেশন মাষ্টার মোঃ কামাল মিয়া এখানে যোগদানের পর থেকেই কয়েকজন সদস্য নিয়ে একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে টিকেট কালোবাজারি করে আসছেন। উনার দলে লাইনম্যান,গেইট ম্যান সহ ৮/১০ জনের একটা বিশাল টিম রয়েছে।
কথিত আছে উনি নাকি একজন সৌখিন পুরুষ। যুবতী নারীর সঙ্গে ফ্রেন্ডশিপ তৈরি করা থেকে পরকীয়া করে বিছানায় নেওয়া উনার শখের একটা অংশ। নারীবাজির ব্যাপারে উনার উপরে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার লাকসাম এলাকার বাসিন্দা পিতা: বাকের হুসেন ও মাতা: রেহেনা বেগমের মেয়ে লাবনী আক্তার (১৯)।অভাবের তারনায় পিতা বাকেরের সাথে এসে স্ব-পরিবারে বসতি স্থাপন করেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায়। বাবা দিন-মজুরীর কাজ করেন। মা “সায়হাম” গ্রুপে গার্মেন্টস শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। রেল স্টেশনের কাছে বাসা হওয়ায় স্টেশন মাষ্টার কামাল মিয়ার সাথে রেল স্টেশনে দেখা লাবনীর। প্রথম দেখাতেই ফ্রেন্ডশিপ এর প্রস্তাব দেন মাষ্টার কামাল, চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়ে পার্শ্ববর্তী শাহজিবাজার রেলওয়ে স্টেশন এর পাশে রাধাপুর গ্রামে আলাউদ্দিন এর ভাড়া বাসায় স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে থাকেন দীর্ঘ ৪ মাস। কিন্তুু নিত্যকার ঝগড়া ঝামেলা দেখে বাড়িওয়ালার সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদে কামাল মিয়া স্বীকার করেন ওদের বিয়ে হয়নি। পরে বাসাভাড়া না দিয়েই এ বাসা ছেড়ে চলে আসে নোয়াপাড়া স্টেশনে। এখন লাবনী কে অস্বীকার করে কামাল। বাসাভাড়া ও খাবার খরচ না দিয়েই নিজের মত করে চলতে থাকে সে। নিরুপায় হয়ে লাবনী স্টেশনে এসে কামাল কে ধরলে কামাল ও তার বাহিনী লাবনী কে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখায়।
অবশেষে স্টেশনের কর্মচারী আলীর সামনে তিন হাজার টাকা বাসা ভাড়া পরিশোধ করেন কামাল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী স্টেশন মাষ্টার মোঃ কামাল মিয়া বলেন, লাবনীকে তিন হাজার টাকা দিয়ে মিমাংসা করছি। একটা নারীর ইজ্জ্বতের মূল্য তিন হাজার? এত সস্তায় নারী পাওয়া যায়?। উত্তরে কামাল বলেন, এধরণের মেয়েদের এর চেয়ে বেশি দরকার আছে কি?”কত মেয়ে দেখলাম জীবনে”।”আর নিউজ করলে কি হবে”? আমি বদলীর জন্য আবেদন করছি। এখন যান,যা পারেন করেন। আমি মানহানি মামলা করব।
তবে ভুক্তভোগী লাবনী প্রতিবেদক কে বলেন আমি এখন কি করব? আমার সবকিছু হারিয়ে এখন বাবা- মায়ের কাছে জায়গা পাচ্ছি না। তাছাড়া কামাল আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিব।
সহকারী স্টেশন মাষ্টার এর ব্যাপারে জানতে চাইলে সিনিয়র স্টেশন মাষ্টার সাইদুর রহমান বলেন, কামালের ব্যাপারে অনেক অভিযোগ, টিকেট কালোবাজারি ও নারী বাজির নালিশ শুনছি। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানাব। তবে অপরাধ ধামাচাপা দিতে সে তদবির করে পাশের রেলওয়ে স্টেশন শায়েস্তাগেঞ্জ বদলী’ হয়েছে বলে তিনি ‘বাংলাদেশ সময় ২৪’কে জানান।
স্হানীয় রেল যাত্রীদের অভিযোগ,একটাকা কম দিলে টিকেট নাই। ডাবল টাকায় টিকেট মিলে সহকারী স্টেশন মাষ্টার মোঃ কামালের কাছে।